স্মৃতির রেখা
- আজমাইল - অ-নামিকা ২৬-০৪-২০২৪

স্মৃতির রেখা

... সেখ আজমাইল

আজি পলান্নও তিক্ত লাগে,
দিবসরজনী বিরহজ্বালা মনে জাগে।
'এণাক্ষী' বিশেষণে কেউ কি আজ তোমায় ডাকে?
কেউ কি আজ তোমার মরমে বেদনাশ্রু ঢাকে?
জানতে বড়ই ইচ্ছে করে।

পরিযায়ী শ্রমিক ভাইয়ের লাগিও এ পরাণ কাঁদে,
নয়নবারি মুছিয়া বিনিদ্র রাতে শুধু পড়ি তোমার স্মৃতির ফাঁদে।
তিক্ত এ জীবন সুধা খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে পড়ে,
উপাধানে মুছি আঁখি, জোৎস্নাসিক্ত যামিনীতে মন 'তুমি-তুমি'ই করে।
জানিতে চাহি কে তব হৃদয় হরে?

আমি যেন আজ দিশেহারা পথিকেরই মতো,
'নিকোটিন' বিষে শান্তি খুঁজি, দূরিতে চাহি মনের যাতনা যত।
ভেবেছিনু পুরাতন হয়ে যাবে লীন নূতনের সংস্পর্শে,
মনে হয়, ভুল ছিনু। তাই যেন মানসের অতলে দুঃখবারি বর্ষে,
বল, সবকিছুই কি শেষ?
কেন তবে হলে তুমি চিরনিরুদ্দেশ?
নয়ন কেন আর পায় না দেখিতে তব মায়াবিনী কেশ?

যখন হেরি শামুখোলের পাঁতি মেঘ ভেদিয়া যায় নীড়ে,
আনন্দাশ্রু রুধিতে নারি, তোমায় যেন হেরি তাহাদের ভিড়ে।
গগণের বুকে তারারা যখন জ্বলে,
তোমায় দেখি আকাশের বুকে তখন প্রতি পলে।
আমি পারি না নিজেরে ক্ষমিতে
বক্ষভরা মর্ম লয়ে চাহি না ভূবনে ভ্রমিতে
স্মৃতির অরণ্যে আজ বিরহদাবানল, পারি না গো তারে দমিতে।

তোমারে আমি শরণ দেব হৃদয়কমল ধামে,
শিহরিয়ে মোরে রাজিবে তুমি আমার হিয়ার বামে,
- হয়ত তুমি তাহা কোনোদিন ভাব নাই।
তাই কি শুনি তোমার হৃদয়ে আমার অভাব নাই?
জানো কি আজও পবনে পবনে তোমারি নাম ভাসে?
বাতাস আজি কানাকানি করে কয় সে-কথা।
জীবন্মৃত হৃদয় জেগে ওঠে পুনঃ অজানা আশে
নিমেষের মধ্যে উবে যায় যেন বিরহের যত ব্যথা।
মনে জেগে ওঠে সাহস, সহাস্য নয়নে তোমার দিকে চাই।
কে যেন বলে, ' ওরে পাগল, সামনে কেহ নাই!'
তোমারে ভুলিতে নারি, মন যে বড় ভবী রে!
' রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।'
আমি পাগলের প্রায় কবিতা রচি তোমার লাগি,
স্মৃতিচারণে মগ্ন থাকি, রোজ রাতে রই জাগি।

গলাতুন, মন্তেশ্বর, পূর্ব বর্ধমান
এপ্রিল ১, ২০২০; রাত্রি ২:৩০

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।