# দুনিয়াতে আমার মত খুব কম সংখ্যক ব্যাকুব কিসিমের পাবলিক আছে যে কিনা নিজের ক্ষতি করে হলেও অন্যের লাভ খুঁজে, তারপরেও নিজেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান ভাবতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি! # ভালবাসি আমার দেশকে, আমার মাকে, আমার মাটিকে! #প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি নারীবাদী এইজন্যে অনেকে বাঁকা চোখে তাকায়! #সমাজের সকল শ্রেনীর নারীদের অতিমাত্রায় সম্মান করি যেমনটা আমার মাকে করি! #একটু বেশি ভূলামনের মানুষ, দুনিয়ার সবকিছু ভুলতে পারি তবে বাসা থেকে বের হবার সময় আমার মাকে পায়ে ধরে সালাম করতে ভুলিনা! আরো একটা ব্যাপার ভুলিনা আর সেটা হলো প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া! #ছোটবেলা থেকেই প্রচলিত ধারার লেখাপড়ার প্রতি আমার একটা বমি বমি অনুভুতি রয়েছে, তাই পাঠ্য বই এর সাথে আমার সম্পর্ক সর্বদাই ঋনাত্বক যেমনটা দামের সাথে চাহিদার সম্পর্ক বিদ্যমান! #দুনিয়ার সবটুকু জুড়েই আমার জন্মদাত্রী মা আর আমার দেশমাতৃকা! #সবচেয়ে খারাপ লাগে তখন যখন দেশের খুব বেশি খারাপ পরিস্থিতিতে নিজের অক্ষমতাটাকে মেনে নিয়েই কলম আর কিবোর্ড দিয়ে লেখালেখি ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনা! # স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি তাই অতিমাত্রায় স্বপ্ন দেখি! #নিজেকে জগতের সবচেয়ে সূখী মানুষ মনে করি অবশ্য এর যতেষ্ট যৌক্তিকতাও রয়েছে! #রাত জগতে পছন্দ করি তাই সুধীজন মহলে রাত জাগা পাখি নামেও খুব খ্যাতি রয়েছে! #খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে লেকিন যখন রাগের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে তখন আশেপাশে রিকটার স্কেলে ১০-১২ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে যাবে! # মানুষকে খুব সহজেই হাঁসাতে পারি এইজন্য আত্বীয়-পরিজন-বন্ধু মহলে বিরাট খ্যাতিও আছে! #একসময় খুব বই পোকা ছিলাম তবে এখন অন্য কিছুর পোকা হয়ে যাওয়াতে বই আর কাছে টানেনা! #জগতের সর্বোত্কৃষ্ট পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকেই হৃদয়ে স্থান দেই সবসময়! # ছোটবেলা থেকেই সৃজনশীলতা ব্যাপারটা খুব টানত তাই সৃজনশীলতার অনেক ভান্ডারের মধ্যে অন্তত কিছু শাখায় হলেও আত্বনিয়োজিত করতে পেরেছি! # প্রথম যখন কবিতা লিখি তখন আমার বয়স ১৩ ছুই ছুই আর যখন প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় তখন সবে ১৬ তে পা রেখেছিলাম! # সেন্স অফ হিউমার ব্যাপারটাকে খুব বেশি কেয়ার করি! # শুভাকাংকিরা বলে আমার আই.কিউ নাকি অনেক বেশি তীব্র আর মুরব্বিরা বলে আমি নাকি একটু বেশিই বুঝি! # পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে সামনে কি ঘটবে সেই হিসাব কষে ফেলার একটা অলৌকিক ক্ষমতা দিয়েই সৃষ্টিকর্তা আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তাই অনেকে ঠাট্টা করে রিকু বাবাও ডাকে! # সদা সর্বদা একটা কথায় মাথায় রাখি যে "সৃষ্টিকর্তা আমাকে কখনো বিপদে ফেলেনি এবং ফেলবেওনা ইনশাল্লাহ"! #আমার একটা চরম বদভ্যাস হলো সুযোগ পেলেই বিনা পয়সায় জ্ঞান দিয়! # চরম বিব্রত বোধ করি তখন যখন কোনো মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগে! # আরেকটি মারাত্বক বদঅভ্যাস হলো কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার সময় ঐ মেয়ের দিখে না তাকানো, এক্ষেত্রে অনেকে বিব্রতও হয় আবার অনেকে মনে করে এঃ ব্যাঠার ভাব কত! # কখনো ভুলেও কোনো মেয়ের দিখে তাকায় না এক্ষেত্রে জীবনের সবচেয়ে বড় ফিলোসফি হলো জীবনে শুধু একজন রমনীর দিখেই তাকাবো যে হবে শুধুই আমার, যেখানে আপেক্ষিকতার কোনো ছোয়া নেই, যা কেবল ই বাস্তবতা! # বৃষ্টি স্নাত গোধূলী কিংবা কাটফাটা দুপুরে রাজপথে হেঁটে যাওয়া তাবুত নারীদের দুচোখ ভরে দেখার মধ্যে কোনো স্বার্থকতা নেই বরং অদূর ভবিষ্যতে চির আপন হতে যাওয়া নিজের বিশেষ মানুষটিকে আজীবন নয়নভরে দেখবার অপেক্ষায় চোখের চাহনি সংবরণ করায় পুরুষের বাস্তব স্বার্তকতা!

আজ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে এম. এ. হামিদ রিকু ১১টি কবিতা প্রকাশ করেছেন।